চট্টগ্রামকে তামাকমুক্ত শহর গড়তে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নগরভবনে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ‘ইপসা’ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবি। তবে শুধুমাত্র জরিমানা করে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্মকে তামাকের হাত থেকে রক্ষা করতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মধ্যদিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে তামাকের মরনছোবল থেকে দূরে রাখতে সচেতনতার বিকল্প নেই। পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিশুদের তামাকের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে কাউন্সিলিং ও তামাকবিরোধী মোটিভেশনাল ক্যাম্পেইন করতে হবে। এছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, তামাকমুক্ত শহর তৈরিতে গণমাধ্যমকে তামাকের বিরুদ্ধে আরো বেশি সরব হতে হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, লিফলেট ইত্যাদি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে।
সমন্বিত প্রচেষ্টায় স্থায়ীত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তামাকমুক্ত গাইডলাইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহর তৈরি করার লক্ষ্যে চসিক ও ইপসার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি আয়োজন হয়।
ইপসার সার্বিক সহযোগিতায় ও ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস্-এর সহায়তায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে চসিক। স্মারকে চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা এবং ইপসার পক্ষে প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান স্বাক্ষর করেন।
ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. গোলাম মো. তৈয়ব আলী, এন্টি ট্যোবেকো মিডিয়া এলায়েন্সের আহ্বায়ক মো. আলমগীর সবুজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু।