কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চলছে ভারতীয় সেনাদের টহল। পুরো কাশ্মীর এখন রূপ নিয়েছে এক আতঙ্কপুরীতে।
এদিকে কাশ্মীরের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় চারদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর সীমিত পর্যায়ে টেলিফোন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানী শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) দপ্তরে মাত্র দুটি ফোন ব্যবহার করে কাশ্মীরের বাইরে জরুরি ফোন করার অনুমতি দেওয়া হয়।
ঈদের আনন্দ আর স্পর্শ করছে না সেখানকার অধিকাংশ মুসলিম বাসিন্দাদের। ঈদে বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে বেশকিছু কষ্টের কাহিনী উঠে আসছে একাধিক গণমাধ্যমে।
এক কাশ্মীরি মা পবিত্র ঈদুল আজহায় ছেলেকে কাশ্মীরে ফিরে যেতে মানা করেন।
ওই নারী বলেন, আমার স্বামী বেঙ্গালুরুতে থাকা ছেলেকে ফোন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে আমি বলেছি, আমি যাব। কারণ তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তাকর্মীরা পুরুষের চেয়ে নারীদের কম বাধা দিচ্ছে। এরপর জওয়াহর নগর থেকে হেঁটে আমার ছেলেকে ফোন দিতে ডিসি অফিসে গেলাম।
‘ফোনে সে প্রথমে কেঁদে ফেলল। কিন্তু তাকে হতাশ হতে না বললাম। নিজের প্রতি যত্ন নিতে বললাম। এছাড়া ঈদে যাতে সে বাড়িতে না আসে, সেই নির্দেশ দিলাম। কারণ এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ।’
শ্রীনগরের আরেক মা তার মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানালেন। এ সপ্তাহে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। অথচ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়লে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের সবার দুশ্চিন্তার কোনো অন্ত ছিল না।
পরে ফোনের লাইন খুললে ভাগ্যবশত তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। চন্ডিগড় থেকে বিমানে এসে তারপর বিমানবন্দর থেকে হেঁটে বাড়ি যেতে চেয়েছিল সে। শেষে ফোনে যোগাযোগ হওয়ায় তাকে বিমানবন্দর থেকে আনতে যাওয়ার একটা সুযোগ অবশ্য পেলেন মেয়েটির পরিবার।
এদিকে শ্রীনগরের ডিসি শহীদ চৌধুরী বলেন, পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন বলে আমরা বুঝতে পেরেছি। যে কারণে আমরা ফোন সেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যে কেউ এখানে এসে স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবেন।