সারাদেশে সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদুল আজহা উদযাপন করা হলেও, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের অনেকেই রোববার (১১ আগস্ট) রোববার ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম সুফি সাধক হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রা.) ২০০ বছর আগে এ নিয়ম চালু করেন। তাঁর মুরিদান সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা বিগত ২০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সময়ানুযায়ী একদিন আগে থেকে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা; লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি; বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা; আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ, বরুমচড়া; বাঁশখালীর কালিপুর; পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের দুই লাখের বেশি মানুষ রোববার ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফে ঈদ জামাতের ইমামতি করবেন ড. মাওলানা মো. মকছুদুর রহমান।
মির্জাখীল দরবার শরিফ পরিচালনা কমিটির সচিব মাস্টার বজলুর রহমান চৌধুরী জানান, আমরা সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করে রোজা-ঈদসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছি। এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। সকাল ১০টায় দরবার শরিফ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দরবার শরিফের অনুসারীরা ঈদের এ জামাতে শরিক হবেন।
জয়নিউজ/খোকন/আরসি