জয়নিউজবিডি ডেক্স: চলচ্চিত্রের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত প্রখ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের সংবর্ধনা সভায় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সাহসী যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক ফারুক।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা কমিটি আয়োজিত গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ইনিঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই নাগরিক সংবর্ধনা।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে নায়ক ফারুকের অবদান অপরিসীম। বাংলা চলচ্চিত্রকে তিনি অনেক দিয়েছেন। চিত্রনায়ক ফারুক আওয়ামী লীগ’র দূরসময়ের পরিক্ষিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন আওয়ামীলীগ’র দুঃসময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের রাজপথে সাহসী যোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক। তিনি চলচ্চিত্রকে ভালবেসে মুক্তিযুদ্ধের শানিত চেতনাকে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছেন।
সাংসদ সাবিহা নাহার বেগম বলেন ফারুক ভাই শুধু চলচ্চিত্র নয় চট্টগ্রাম’র ও প্রিয় মানুষ। এ মানুষটি বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উপর কাজ করে গেছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক ফারুককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।
সংবর্ধিত অতিথি ফারুক বলেন চট্টগ্রাম আমার ভালবাসার বাড়ী। এখানকার মানুষকে আমি হৃদয় দিয়ে ভালবাসি। এ চট্টগ্রামের গণমানুষের চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার প্রাণের মানুষ এবং ভালবাসার মানুষ। মহিউদ্দিন ভাইকে হারিয়ে চট্টলাবাসীর মত আমিও শোকাহত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে কঠিন সময় আসছে। এ সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সকল সৈনিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কা প্রতীকে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে নৌকায় ভোট দিন বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, আবেগী ভালবাসা পরিহার করে দেশরতœ শেখ হাসিনাকে মনে প্রাণে ভালবাসুন। আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করুন, অব্যশই আমরা জয়ী হব। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য সুজনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমেদ শাহিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন বিভাগীয় পরিচালক মুহঃ মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাবেক প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী, দৈনিক সমকাল ডিজিএম সুজিত কুমার দাশ, আওয়ামীলীগ নাওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা, সৈয়দ দিদার আশরাফী, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, লায়ন এ.কে. জাহেদ চৌধুরী, সজল চৌধুরী, স্বপন সেন, মোখলেছুর রহমান, ভানুরঞ্জন চক্রবর্ত্তী, মিঠুল দাশগুপ্ত, কবি এহসান মাহমুদ আলম, এড. আশুতোষ দত্ত নান্টু, ডা. খোদেজা খুরশিদ অপরাজিতা, মমতাজ খান, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. আবু তাহের, দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, সফর আলী, দেওয়ান মাকসুদ, প্রণবরাজ বড়–য়া, এজাহারুল হক, সুযময় চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ, সিদ্দিক আহমদ, রিমন মুহুরী, কাজী আইয়ুব, রোজী চৌধুরী, কারিমা বেগম বিজলী, মোঃ শেখ আব্দুল্লাহ, হারুন- উর- রশিদ, আবসার উদ্দিন অলি, কবি নুর নাহার ইউনুচ নিপা, নুরন্নবী চৌধুরী জনি, ইউনুচ মিয়া, রফিকুল ইসলাম রাজু, শাহেদ আমিন, ডা. বরুন আচার্য্য বলাই, বিপ্লব দাশ গুপ্ত, আরিয়ান আহমেদ, কবি মাহবুব শাহ্ প্রমুখ।