রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরেই নগর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি গেছে হাজার হাজার মানুষ। গ্রামমুখী মানুষের ঢলে কমে গেছে চিরচেনা নগরের কোলাহল। ফাঁকা শহরে বেড়েছে পুলিশি নিরাপাত্তা। খুন, চুরি, ডাকাতি কিংবা বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ব্যস্ত নগর এখন ফাঁকা, তাই উধাও অসহনীয় যানজটের চিত্র। মানুষের সব স্রোত এখন মিশেছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে। শেষ মুহূর্তেও অনেকে ছেড়ে যাচ্ছেন শহর। এ যাত্রীর বড় অংশ ব্যবসায়ী।
আজ রোববার (১১ আগস্ট ) থেকে শুরু হয়েছে সরকারি ছুটি। তবে অলিখিত ছুটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নগর ছেড়ে যায় অসংখ্য মানুষ।
মুরাদপুর-কোতোয়ালি রুটের টেম্পোচালক আকমল জয়নিউজকে বলেন, প্রতিদিন এই রুটে গাড়ি নিয়ে পাঁচবার যাওয়া-আসা করি। খরচ বাদ দিয়ে আমার হাতে ৯শ’ টাকার মতো থাকে। আজ সবমিলিয়ে তিনবার যাওয়া-আসা করতে পেরেছি। সব খরচ বাদ দিয়ে আমার হাতে আছে মাত্র সাড়ে তিনশ’ টাকা। কারণ যাত্রী কম।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জয়নিউজকে জানান, প্রতিবারের মতো এবারো ঈদে বাড়তি যাত্রী পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত ট্রেন ও বগির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক যাত্রীই ইতোমধ্যে শহর ছেড়েছেন। গত শনিবার ও রোববার মিলিয়ে অন্তত দশ হাজার মানুষ রেলপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করেছেন।
এদিকে গত দু’দিন দিন-রাত সমানে নগর ছেড়েছে দূরপাল্লার বাস। রোববার বিকেলে বিআরটিসি, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন ও অলংকার বাসস্টেশনে দেখা গেছে ঈদে বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব যাত্রীর ভিড়।
জয়নিউজ/পার্থ