জনগণের বন্ধু আর সেবক‘ হওয়ার আড়ালে চাপা থাকে তাদের সব আনন্দ। সবাই যখন উৎসবে মত্ত তখন তারা ব্যস্ত সেই উৎসব-আনন্দকে নির্বিঘ্ন করতে।
বন্ধের দিন, তাই একটু আয়েশ করে ঘুম থেকে উঠে নামাজে আসেন মুসল্লিরা। কিন্তু সাধারণ মানুষ আসার আগে ভোর সাড়ে ৫টায় জামাতস্থলে হাজির পুলিশ সদস্যরা।
সকাল ৭টায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘ঈদ শুরু হয়নি। কিন্তু ডিউটি শুরু। বরাবরের মতোই গুরু-শিষ্য ইজ অন ডিউটি। ঈদ মোবারক বাংলাদেশ।’
সবাই নামাজ পড়ছে আর আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন, বলতেই ওসি মহসীন বলেন, আমাদের চাকরিটাই এমন। নগরবাসীর নিরাপত্তা দেওয়াটাই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয়। তখনই ভালো লাগে যখন আমাদের কাজে জনগণ সন্তুষ্ট হয়। তখনই নিজেকে স্বার্থক মনে হয়।
দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে তাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকাল সোয়া ৮টায় পুলিশ কমিশনার স্যারসহ অন্যান্যরা প্রথম ঈদ জামাতে অংশ নেন। যারা দায়িত্বে পালনে ব্যস্ত ছিলেন তাদের নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আমরা সবাই ঈদের নামাজ আদায় করবো। এরপর আমাদের ভোজের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এদিকে কোরবানির ঈদে নগরবাসীকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) চার হাজার সদস্য সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঈদ জামাত ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান জয়নিউজকে বলেন, ঈদুল আজহা ঘিরে চট্টগ্রামে কোনো নিরাপত্তার হুমকি নেই। এরপরও মাঠে সতর্ক অবস্থানে আছে নগর পুলিশের চার হাজার সদস্য।
সোমবার (১২ আগস্ট) জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন দক্ষিণ জোনের ডিসি মেহেদী হাসান, দক্ষিন জোনের এডিসি আব্দুর রউফ, এডিসি (সিটি এসবি) মঞ্জুর মোর্শেদ, ওসি কোতোয়ালী মহসীন, ওসি মর্জিনা আক্তারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কয়েক শত সদস্য।
জয়নিউজ