পশু জবাইয়ের জন্য ৩৪১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি এবারও। বরাবরের মতোই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে। এ কারণে বেগ পেতে হচ্ছে পরিচ্ছন্নকর্মীদের।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ছিল, তবে ঈদের সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি।
ঈদের নামাজ শেষে গরু-ছাগল জবাই, মাংস বিলি আর রান্না-খাওয়ার উৎসব আমেজে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করছেন সারাদেশের মুসলমানরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল নয়টা থেকে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে চসিক। বিকাল পাঁচটার মধ্যে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক এবং রাত আটটার মধ্যে পুরো নগরের অলিগলির ভেতর থেকে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে চসিক।
সংশ্লিষ্টদের মতে, নগরে ১ লাখ ৮০ হাজার গরু এবং অর্ধলাখের মতো ছাগল জবাই হতে পারে। সবমিলিয়ে কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্য হবে ৬-৭ হাজার টন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করছেন। এছাড়া ৪১টি ওয়ার্ডকে চারটি সেলে ভাগ করে ৪ জন কাউন্সিলরকে সেল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সবাই একই সময়ে কোরবানি দেয় না, সেহেতু টানা তিনদিন বর্জ্য অপসারণের কাজ চলবে।
মেয়র নাছির জয়নিউজকে বলেন, সকাল থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন। গত বছরের মতো এবারও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা বর্জ্য অপসারণ করবো। নগরবাসী সচেতন হলে এবং পশু জবাইয়ের পর নিজেরা পশু জবাইয়ের স্থানে পানি ছিটিয়ে দিলে দুর্গন্ধ ছড়ায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নগরের কোথাও জবাই করা পশুর বর্জ্য রাত ১০টার পর পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুমে তথ্য জানাতে পারবেন নগরবাসী।
কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগের নম্বর- ০৩১- ৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯, ০১৭১২২৫২৬১৫ ও ০১৬৭৫২১৮৪৮৫। আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
জয়নিউজ