রাউজানের কলমপতি এলাকার বাসিন্দা বাহাদুর। মৌসুমি এ চামড়া ব্যবসায়ী এবার কোরবানিতে প্রতিটি গরুর চামড়া কিনেন ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়। কিন্তু দিন শেষে মুন্সিরঘাটায় সেই চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে ক্রয়মূল্য থেকে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা কমে!
বাহাদুরের মতো এমন বেহাল দশা রাউজানের সব মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীর। তাদের সবাইকে এবার কোরবানির চামড়ায় গুনতে হয়েছে বিপুল অঙ্কের লোকসান।
রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিটি গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে কিনে উপজেলার মুন্সির ঘাটা, গহিরা চৌমুহনী, নোয়াপাড়া পথের হাট ও পাহাড়তলী চৌমুহনী এলাকায় স্তূপ করে রাখা হয়। পরে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হন ক্রয়মূল্যের অর্ধেক দামে এসব চামড়া বিক্রি করতে।
এদিকে চামড়ার দাম কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে মাদ্রাসাগুলোতেও। অন্যান্য বছর চামড়া থেকে যে পরিমাণ আয় আসত এবারের আয় এর চেয়ে অনেক কম।
রাউজান দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা রফিক আহম্মদ ওসমানী জয়নিউজকে বলেন, আমাদের মাদ্রাসার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৫০টি চামড়া সংগ্রহ করা হয়। অন্যান্য বছর বাড়তি দাম পেলেও এবার অনেক কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। প্রতিটি চামড়া ২৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হতাশার সুর ছিল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের শরীফপাড়া মাদ্রাসার আবদুল শুক্কুরের কণ্ঠেও। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমাদের মাদরাসার জন্য ২৩টি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। দাম কমে যাওয়ায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে প্রতিটি চামড়া ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে।