সারাদেশ যেদিন জাতির পিতা হারানোর শোকে মুহ্যমান থাকত, সেদিন দলীয় চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালনের নামে বিএনপি মেতে উঠত আনন্দ উৎসবে।
তবে গত কয়েক বছরে পাল্টেছে পরিস্থিতি। শোক দিবস পালন না করলেও বিএনপি এখন আর কাটে না ‘ম্যাডামের জন্মদিনের কেক’! ১৫ আগস্ট তাদের কর্মসূচি এখন সীমাবদ্ধ থাকে খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ মাহফিলে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে জয়নিউজের পক্ষ থেকে কথা হয় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। এসময় উঠে আসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গও।
শাহাদাত বলেন, আগামীকাল (১৫ আগস্ট) দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে শুধু বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো আয়োজন নেই।
কেক কাটা হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এবার কেক কাটার কোনো আয়োজন নেই। আমরা গত চার-পাঁচ বছর ধরে কোনো কেক কাটার আয়োজন করছি না। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে হবে মিলাদ মাহফিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডকেই সমর্থন করি না। কোনো হত্যাকাণ্ডই কাঙ্ক্ষিত না। আমাদের প্রশ্ন হল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আওয়ামী লীগ কী করে পৃষ্ঠপোষকতা করে? আমরা জানি, বঙ্গবন্ধু হত্যায় কারা খুশি হয়েছিল। মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন বলেছিলেন! হাসানুল হক ইনুরা ট্যাংকের উপর উঠে আনন্দ করেছিলেন। এটাইতো ঐতিহাসিক সত্য। অথচ তাদেরকেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী বানিয়েছে।
শাহাদাত বলেন, খন্দকার মোশতাকরা ছিলেন বাকশালের প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী লীগের তখনকার বাকশালপন্থীরাইতো মুজিব হত্যার পর মন্ত্রী হয়েছে। তাদের সময়ই তো ইন্ডেমনিটি আইন জারি হয়েছিল। এসব বিষয় নতুন প্রজন্মের জানা উচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রকৃত ইতিহাস তুলে না ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে জিয়াউর রহমানসহ বিএনপিকেই শুধু দোষারোপ করে।
খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতেই তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। দুদকের এমন মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ইয়াবা সম্রাট বদি, নাজমুল হুদারা জামিনে আছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। দেশের আইন সবার জন্য যেন সমান নয়। এদেশে এখন আইনের শাসন নেই এটাই তার প্রমাণ।