দিনদিন সমাজের অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। টপ টু বটম;শিক্ষিত,অর্ধ শিক্ষিত,অশিক্ষিত সবার সেম অবস্থা।মাঝেমাঝে একান্তে ভাবি এই পচা সময়ে কেনো আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠালো।
চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের বাসে করে পায়েল নামে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একছাত্র ঢাকায় যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে জ্যামের মধ্যে বাস থামলে পায়েল প্রাকৃতিক ডাকের কারণে বাস থেকে নামে।
এরপর আচমকা বাস ছেড়ে দিলে ছেলেটি বাসে উঠতে গিয়ে আঘাত পেয়ে আহত হয়। এ অবস্থায় বাসটি একটু সামনে নিয়ে চালক,সুপারভাইজার আর হেল্পার বাস থেকে নেমে আহত পায়েলকে হসপিটালে না নিয়ে গিয়ে উল্টো ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে! আঘাত করে তার মুখ এমনভাবে বিকৃত করে ফেলে যাতে লাশ না চেনা যায়।
লাশটি নদীতে ফেলে দিয়ে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে!পথিমধ্যে বাসের অন্য যাত্রীরা ছেলেটির কথা জিজ্ঞেস করলে ড্রাইভার বলে পরের বাসে আসবে।
কত অসভ্য হয়েছে এ সমাজ চিন্তা করা যায়??
দুদিন আগে পেপারে দেখলাম চট্টগ্রাম শহরেই টাকার জন্যে মায়ের আদরে বড় করা আপন মামীকে বসার পিড়ির আঘাতে হত্যা করে,ওইসময় দেখে ফেলায় ওই মামীর বুড়ো মাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।কত হিংস্র হলে মানুষ এমন করতে পারে??দুজন আপন মানুষকে নিজের হাতে কেমনে মেরে ফেলতে পারে??একজন মুমূর্ষু ছাত্রকে হসপিটালে না নিয়ে গিয়ে উল্টো ইট দিয়ে থেথলে কেমনে হত্যা করতে পারে???
পায়েল হত্যার দায় হানিফ পরিবহন কর্তৃপদ কোনভাবেই এড়াতে পারে না।আর দুই মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় তো খুনি আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে অলরেডি!
পায়েল হত্যার ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।প্রয়োজনে আসুন হানিফ পরিবহণ বর্জন করি।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।