নগরের শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যের মারধরে পেয়ারা বিক্রেতা নিহতের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই খবর চাওর হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার কয়েক দফা সংঘর্ষও ঘটে।
মারধরের শিকার পেয়ারা বিক্রেতার নাম মোহাম্মদ আলী (৪৫) বলে জানা গেছে। আলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের এএসআই জায়িদ আজিজের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) জাহিদুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ডিবির এক সদস্যের সঙ্গে পেয়ারা বিক্রেতার হাতাহাতি হয়। পেয়ারা বিক্রেতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় স্থানীয়রা ওই পেয়ারা বিক্রেতার মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়।
নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মো. হামিদুল আলম জয়নিউজকে বলেন, পেয়ারা বিক্রেতার সঙ্গে আমাদের এক এএসআই’র মারামারি খবর শুনেছি। তবে পেয়ারা বিক্রেতা আগে থেকেই প্রেশারের রোগী ছিলেন বলে জানা গেছে। হয়তো কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পেয়ারা বিক্রেতাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন।
নগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন জয়নিউজকে বলেন, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এএসআই জাহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।