চট্টগ্রামের ডিসিহিলে দীর্ঘদিন জাতীয় দিবসগুলো উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই সময় তিনি “ ডিসি হিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধও হন ।
বুধবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরের সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের প্রশাসনতো বাইরের কেউ নন। এটিতো বিদেশি বা পাকিস্তানি প্রশাসন নয়। বাংলাদেশের প্রশাসন হয়েও, যদি দেশের সংস্কৃতি নিয়ে কথা না বলে, তাহলে তারা কার জন্য কথা বলবে?
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন,“ ডিসি হিলে বহুবছর ধরে অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। সেই অনুমতিটা চট্টগ্রামের ডিসিই একসময় দিয়েছিল। চট্টগ্রামের মতো একটি শহরে, ঐতিহ্যবাহী একটি জায়গায়, বহুদিন ধরে উন্মুক্ত জায়গায় অনুষ্ঠান করতে পারছে না মানুষ। এটি আমাদের কাছে খুবই বিস্ময়কর।”
এই মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, কবি আবুল মোমেন, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়েছে। ডিসি সাহেবের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কারণ এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা তিনি করতে পারে না। চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীকেও দেওয়া হয়েছে।
এ্ই সময় তিনি বলেন, আমাদের ডিসি সাহেবরা যখন বক্তব্য দেন তারা কিন্তু জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এটিকে দমন করার জন্য সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেন। কিন্তু যখন কাজের ক্ষেত্রে আসেন, তখন তারা কতো নিয়ম তৈরি করেন।
প্রশাসনের প্রতিনিধি ও সংস্কৃতি প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠন করুন। আপনারা সিদ্ধান্ত নেন, কমিটিতে কারা কারা থাকবেন। নীতিমালা তৈরি করে ডিসি হিল খুলে দিন।
বিপি