সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ায় আবারও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে পাকিস্তানকে। মূলত টেরর ফান্ডিং ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানকে ব্ল্যাক লিস্টে রাখল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)।
শুক্রবারই (২৩ আগস্ট) সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গেছে, ৪০টি মাপকাঠির মধ্যে ৩২টিতেই ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তাই তাদের কালো তালিকাতেই রাখা হলো।
অস্ট্রেলিয়ায় দু’দিন অন্তত সাত ঘণ্টা চলে সেই বৈঠক। এরপরই পাকিস্তানের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, জাতিসংঘের ঘোষণার পরও সাবধান হয়নি পাকিস্তান। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত উদ দাওয়া, লস্কর, জইশকে অর্থ সাহায্য করছে পাকিস্তান। নিষিদ্ধ ঘোষণার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ সরকারের সাহায্য পাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। পরে, পাকিস্তান সরকারই সংগঠনগুলোর পাশে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে সেই ঘোষণাও করে পঞ্জাব সরকার।
এফএটিএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অক্টোবর মাসের মধ্যে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে পাকিস্তানকে। যদি ইমরান খান সরকার এই নির্দেশ না মানে, তাহলে ফের তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। এর আগে, ১৯৮৯ সালে আর্থিক কারচুপি, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে আর্থিক সাহায্যের মত বিষয়গুলো থেকে আটকাতে আন্তর্জাতিক স্তরে গঠিত হয় ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। যে দেশগুলো আন্তর্জাতিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে জঙ্গি সংগনগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছে তাদের কালো তালিকায় আনছে এফএটিএফ।