মেছো বাঘ। ইংরেজি নাম ফিশিং কেট (Fishing cat)। নামের সঙ্গে বাঘ কথাটি থাকলেও নাম শুনে মনে হতে পারে মাছ তাদের জীবনধারণের প্রধান খাদ্য! তবে মাছ এদের মূল খাদ্য নয়।
রোববার (২৫ আগস্ট) এমনই একটি মেছো বাঘের বাচ্চার সন্ধান মিলেছে হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নের আলাওয়াল দীঘি এলাকায়। তবে জীবিত নয় মৃত।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৮-১০ কেজি ওজনের ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের মৃত মেছো বাঘটির পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পৌরসভার ১১ মাইল এলাকার এক যুবক আলাওয়াল দীঘি সংলগ্ন একটি খালে মরে যাওয়া বাঘটি ফেলে দিতে দেখা গেছে।
মেছো বাঘ লোকালয়ে কেন- এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, একসময় দেশজুড়েই ছিল এদের বিচরণ। তবে এখন প্রাকৃতিক বন বাদে অন্যত্র মেছো বাঘ মহাবিপন্ন। খাদ্যের অভাবে তারা লোকালয়ে আসতে পারে।
‘বাঘটি যেসব কারণে লোকালয়ে আসেত পারে। প্রথমত, এই প্রাণির খাদ্য সংকট দিন দিন বড় আকার ধারণ করছে। দ্বিতীয়ত, প্রাকৃতিক জলাভূমি যখন ছিল তখন এর আশপাশে প্রচুর ঝোপঝাড় থাকত। দিনের বেলা মেছো বাঘগুলো এসব ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকত। তাদের মতে, এদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মেছো বাঘ দক্ষ শিকারি এবং তুখোড় লড়াকু। এদের শরীরে প্রচণ্ড শক্তি। গাছে চড়তে বেশ পারদর্শী এরা। রাতে গাছে চড়ে বড় পাখিসহ ওদের ডিম-ছানা খায়। মেছো বাঘ বছরে দুবার বাচ্চা দেয়। বাচ্চাগুলো পোষা যায়।