সদ্য ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতও হতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সোমবার (২৬ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
এর আগে রোববার (২৫ আগস্ট) এক নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের পর ডিসি আহমেদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
আরও পড়ুন: ওএসডি হলেন সেই ডিসি
একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমান।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, যদি তদন্তে (অভিযোগ) প্রমাণিত না হয় তবে কাউকে শাস্তি দেওয়া কঠিন। আমরা এজন্য কমিটি করেছি। কমিটি দেখবে এটা। অবজেক্টটিভলি দেখবে, নিরপেক্ষভাবে দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানুপুলেশন থাকে তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে। সেজন্য এক্সপার্টও সঙ্গে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘অভিযোগ প্রমাণ হলেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’
কী ধরনের শাস্তি হতে পারে- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা- সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), বিমুভাল হতে পারে অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।