কক্সবাজারের পেকুয়ায় মশারি টানাতে দেরি করায় শিক্ষক স্বামীর পিটুনিতে আহত হয়েছেন স্ত্রী। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে সিকদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শামীমা জন্নাত (২৬) পেকুয়া জিয়াউর রহমান কলেজের শিক্ষক নাজেম উদ্দিনের স্ত্রী। সে চকরিয়ার কৈয়ারবিল এলাকার নুরুল হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে শামীমা পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক একই উপজেলার ডুলহাজারা মাইচপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
শামীমা জন্নাত বলেন, নাজেম উদ্দিনের সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৮ বছরের সংসার। আমাদের দু’টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সে আমাকে প্রতিনিয়ত গালাগালি ও মারধর করত। ঘটনার দিন সকাল থেকে আমার শরীর অসুস্থ থাকায় ঘুমিয়ে পড়ছিলাম।
তিনি বলেন, বিকেল ৪টায় তিনি বাসায় আসেন। নাস্তা সেরে বলেন, মশারি টানিয়ে দিতে। কিন্তু মশারি টানাতে দেরি হওয়ায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে গলা টিপে হত্যাচেষ্টাও করেন। পরে আমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন। তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে এসেও তিনি হুমকি দিয়ে যান। মারধর ও হুমকির বিষয়টি আমি লিখিত আকারে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও থানাকে অবহিত করেছি, বলেন শামীমা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক নাজেম উদ্দিন বলেন, শামীমা সবসময় উগ্র আচরণ করেন। আমি ঘটনার দিন কলেজের কাজ শেষ করে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরার পর সে কোনো কারণ ছাড়াই খারাপ আচরণ শুরু করেন। তারপর ও বেশি কথা বলা শুরু করলে, আমি গলা টিপে ধরি। তাতে গলায় ও নাকে আছড় লেগে রক্ত হয়েছে। তা বড় কিছু নয়।
পেকুয়া জিয়াউর রহমানের কলেজের সভাপতি শফওয়ানুল করিম বলেন, স্ত্রীর পিতার পক্ষ থেকে মারধরের বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ পেয়েছে। তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, শামীমা জন্নাত নামের এক মহিলার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।