আমাজন-সুন্দরবনসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে নগরের শহীদ মিনারে এক প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন।
সভায় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও সাম্রাজ্যবাদের বলি হয়েছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’খ্যাত আমাজন জঙ্গল। গত তিন সপ্তাহ ধরে পুড়ছে আমাজন। অথচ গ্রহণ করা হয়নি কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
তারা বলেন, আমাজানের এ আগুন কোনো সাধারণ দাবানল নয়। বহুবছর ধরেই সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর শকুন দৃষ্টি আমাজনের দিকে। আর তাই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল আমাজনকে কর্পোরেটের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। আমাজন বনের উপর এই কর্পোরেট আগ্রাসন মানবজাতির জন্য হুমকি স্বরূপ।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে- পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল বানানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ফলে সুন্দরবনের স্বাভাবিকতা ব্যহত হচ্ছে। এর পরিনামে আমাদের হারাতে হবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষাকারী সুন্দরবনকে। সুন্দরবন বা আমাজন কেউই আজ কর্পোরেটের থাবা থেকে মুক্ত নয়। সাম্রাজ্যবাদীদের কবল থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শোভন কুমার দাশের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অভিজিৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ধীষন প্রদীপ চাকমা, চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক রক্তিম বড়ুয়া।