খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের তিন সন্ত্রাসী নিহতের ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে দীঘিনালা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পীযুষ কান্তি দে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার দেব জয়নিউজকে বলেন, সেনাবাহিনীর নিয়মিতটহলের উপর সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫/৬ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বরাদাম এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহলদল অভিযানে যায়। এ সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা সেনা টহলদলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি চালায়। সেনাবাহিনীও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। এরপর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীর মরদেহসহ একটি আমেরিকার তৈরি এম-৪ অটোমেটিক কার্বাইন (গুলিসহ), দুটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।