নগরে যৌথ অভিযানে অজ্ঞান পার্টির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে মানু্ষের ছিনিয়ে নেওয়া টাকা, ১০০টি ক্লোনোজেপাম ইপিট্রা ২ ট্যাবলেট, ৩২০টি ক্লোনোজেপাম লোনাজেপ ২ ট্যাবলেট ও ১৫টি সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার চারজন হলো- ফিরোজপুরের মঠবাড়ি থানার রতন মিয়া (৮৫), খুলনার রুপসা থানার বাগমারা এলাকার মো. বাবুল (৩৬) ও একই এলাকার মো. শহিদুল ইসলাম (৩০), বরগুনার বামনা থানার মধ্য আমতলী এলাকার মো. হারুন (৩১)।
এদিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, এ চক্রে বৃদ্ধ সদস্য ডাব বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন। একই জায়গায় আরেকজন ডাব ক্রেতা হিসেবে অবস্থান করেন। টার্গেট নির্দিষ্ট করার পর বৃদ্ধ ডাব বিক্রেতা ওই লোককে বলে, তার কাছ থেকে একটি ডাব কেনার জন্য। এরমধ্যে বিশ্বাস জমানোর জন্য এ চক্রের অপর সদস্য একটি ডাব কিনেন বৃদ্ধের কাছ থেকে। সবার সামনে সেটি পান করে ফেলেন। টার্গেট হওয়া ব্যক্তি ফাঁদে পড়ে ডাব কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে অজ্ঞান হওয়ার ওষুধ মেশানো ডাবটি দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ডাব খাওয়ার পর ওই লোক হাঁটা শুরু করলে তার পেছনে এই চক্রের দুই সদস্য হাঁটেন। যদি ওই ব্যক্তি গাড়িতে উঠেন তাহলে তারা দুইজনও গাড়িতে উঠে। টার্গেট হওয়া ব্যক্তি যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে এ চক্রের সদস্যরা তাকে তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে সবার সামনে থেকে তুলে নিয়ে চলে যান। পরে সুবিধামতো জায়গায় সব ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ফেলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ রাইসু্ল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনসহ অভিযান পারিচালনাকারী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।