নগরে ছুরিকাঘাতে জাকির হোসেন সানি (১৮) খুনের ঘটনায় তার বোন বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সৌরভ ঘোষ (২০) নামে এক যুবককে। সৌরভ ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী এবং কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী। ওয়াসিমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সৌরভের অনেক ছবিও রয়েছে।
তবে ঘটনার দিন (সোমবার) হাসপাতালে ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারীরা বলেছিলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কলেজ ছাত্রসংসদের জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু গ্রুপের অনুসারীরা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সানির বড় বোন মাহমুদা আক্তার ইন্নি বাদী হয়ে নগরের খুলশী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সানিকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তরুণকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন- সৌরভ ঘোষ (২০), আনিসুর রহমান (৩০), সৈয়দ সাফাত কায়সার (১৯), রবিউল (১৯), তুষার (২২), আয়াতুল হক (২০) ও মো. মামুন (৩০)। এছাড়াও এতে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সানি হত্যার নেপথ্যে কী?
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের আগেই আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে সৌরভ ও কায়সারকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলা দায়েরের পর তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় বাদী পূর্ব শত্রুতার বিষয় উল্লেখ করেছেন। আমরা এই অভিযোগ নিবিড়ভাবে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেব।
এর আগে সোমবার (২৬ আগস্ট) ওয়াসিম গ্রুপের কর্মী জাহিদুল ইসলাম প্রমি জয়নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে পড়ার সময় থেকেই সানি ছাত্রলীগ করত। আমাদের সঙ্গে মিছিল-মিটিংয়ে যেত। আজ নাসিরাবাদে সাথী কমিউনিটি সেন্টারে আমরা জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। সানিকেও সেখানে যেতে বলেছিল আমাদের কয়েকজন ছোট ভাই।
আরও পড়ুন: সানি হত্যায় আটক ২
তিনি বলেন, রোববার (২৫ আগস্ট) এমইএস কলেজের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি হয়। সেখানে সানিও ছিল। এর জের ধরে বাচ্চু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে।
প্রসঙ্গত, ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ রয়েছে। এক গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিন এবং অন্য গ্রুপটি নিয়ন্ত্রণ করেন কলেজ ছাত্রসংসদের জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু। উভয়গ্রুপ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিত।