সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়তই হুমকির মুখে পড়ছে হালদার তীর রক্ষাবাঁধ ও নদীর তীরবর্তী বসতঘর। তবে অজ্ঞাত কারণে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নির্বিকার।
জানা গেছে, হালদা নদীতে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে কার্প জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) মা-মাছ ডিম ছাড়ে। এসময় রাউজান-হাটহাজারীর ডিম সংগ্রহকারী ও মৎস্যজীবীরা নদী থেকে নৌকা ও জাল বসিয়ে মাছের ডিমসংগ্রহ করে। এ কারণে মা মাছ রক্ষায় হালদা নদীকে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে মৎস্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া নদীতে ছয় মাস যান্ত্রিক নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। তারমধ্যে নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট হালদা নদীর মোহনা পর্যন্ত সারাবছর মাছ শিকার ও বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়।
নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে হালদা নদী থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে চলেছে বালু ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে প্রতিফুট বালু ১৩ টাকা দরে উপজেলার নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী, গুমানমর্দন, মেখল, মির্জাপুর ইউনিয়নসহ রাউজান ও ফটিকছড়িসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন জিপ (চাঁদের গাড়ি) এবং যান্ত্রিক নৌযানে করে বিক্রি করছেন। ফলে হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন মুঠোফোনে জয়নিউজকে বলেন,বালু উত্তোলন বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন শুনেছি এবং বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।