সৌদি আরবের হজ পরিবহন প্রধান আব্দুল মালেক গোরবানের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র হজ কাফেলা ট্যুরস্ এন্ড ট্রাভেলসের নির্বাহী পরিচালক খোরশেদ আলম সুজন।
বুধবার (২৮ আগস্ট)স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় মক্কার হজ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে হজ পরিবহন ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা এবং অনিয়ম নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সুজন বলেন, এ বছর হজ মৌসুমকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের রাজকীয় সরকার যে সকল কল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব। হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজতর করার ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজীরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে নিজ নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছে। এ জন্য সৌদি বাদশার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান তিনি।
তিনি হজ পরিবহন ব্যবস্থায় নিয়োজিত আবু সারহাদ প্রতিষ্ঠানের বাসগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল বলে অভিযোগ করে বলেন, মক্কা থেকে মদিনা শরীফ আসা-যাওয়া করতে হাজীদের প্রায় ১০ ঘণ্টারও অধিক সময় লেগেছে।
এছাড়া বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ বাস হজযাত্রাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।দীর্ঘক্ষণ ভ্রমনের ফলে কিছু হজযাত্রী অসুস্থও হয়ে পড়েছে।এ পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি হজ পরিবহন ব্যবস্থায় উল্লেখিত অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে হজ পরিবহন প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় হজ পরিবহণ প্রধান আব্দুল মালেক গোরবান মেয়র হজ কাফেলার প্রতিনিধিদলের উত্থাপিত অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষন করে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আবু সারহাদ পরিবহন কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি।এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা উক্ত পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ১০৫০টি বাস চলাচলের অযোগ্য ঘোষণা করেছি। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
আগামী হজে আবু সারহাদ প্রতিষ্ঠানসহ অন্যকোনো প্রতিষ্ঠান যেন ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ, তিনি শনিবার (৩১ আগস্ট) মেয়র হজ কাফেলার হাজীদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলেও জানিয়েছেন।
সভা শেষে সুজন সৌদি আরবের হজ পরিবহন প্রধান আব্দুল মালেক গোরবানের নিকট একটি স্মারকলিপি দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেয়র হজ কাফেলার পরিচালক শহীদুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষক মো. ইসমাঈল হোসেন, হাজী নুর হোসেন ও হাজী আব্দুর শুক্কুর।