সাংবাদিক মারধরসহ পৃথক দুটি ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ৮ নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাদের।
এদের মধ্যে চারজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের ও বাকি চারজন বগিভিত্তিক আরেক গ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতাকর্মী।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাগিংয়ের সময় বাধা দেওয়ায় আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার চবি প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম তুহিনকে মারধর করে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এর আগে রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে লাগাকে কেন্দ্র করে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হাটহাজারী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শান্তনু নাথকে মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এদিকে সাংবাদিক মিনহাজ তুহিনকে মারধরের ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান রূপক, ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী রাজিবুল আলম ও সাব্বির হোসেন এবং মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তৈমুর হোসেনকে কারণ দর্শাতে বলেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে শান্তনু নাথকে মারার ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী এমাদ উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সালাউদ্দিন সাজ্জাদ, একই সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের লিপ্টন দাশকে কারণ দর্শাতে বলেছে প্রশাসন।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চবির সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়নিউজকে বলেন, সাংবাদিককে মারার ঘটনায় আর শান্তনু নাথকে মারার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে কারণ
দর্শাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তারা কারণ দর্শাবে।
জয়নিউজ/এসআই/জেডএইচ