চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নগরভবন নির্মাণ ও স্মার্ট সিটি সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প দু’টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পর্যালোচনা কমিটির (আইপিইসি) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে চসিক নগরভবন নির্মাণে একধাপ এগিয়ে গেল।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রকল্প পরিচালনা কমিটির সভায় চসিকের এ প্রকল্প দুটি উপস্থাপন করা হয়।
তবে স্মার্ট সিটি সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করে প্রতিবেদনসহ পরবর্তী সভায় পুনরায় উত্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ৩ এপ্রিল স্মার্ট সিটি প্রকল্পটির ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতার ব্যাপারে ইতোমধ্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইপিইসি সভায় স্মার্ট সিটি প্রকল্পটি উত্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা করে আরো ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য বলা হয়েছে।
ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে কেন্দ্রীয়ভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৪৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাজেটে “স্মার্ট সিটি প্রকল্প” নামে একটি ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সময়ের প্রয়োজনে চসিকের জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন আইকনিক বহুতল ভবন নির্মাণের চাহিদা ছিল দীর্ঘদিন থেকে। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে নগরভবনের নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি আইপিইসিতে অনুমোদনের মধ্য দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আরো একধাপ এগিয়ে গেল। নগরভবনটি নির্মিত হলে চসিকের আগামী ৩০-৪০ বছরের অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণ হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সিটি মেয়র আরো বলেন, বিগত সময়ে নগর উন্নয়নে গৃহীত ছয়টি প্রকল্প পাস হয়েছে। এডিপির অর্থায়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৫৬ হাজার টাকা। বর্তমানে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। অপর প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নগরভবন নির্মাণে ২০৪ কোটি এবং চট্টগ্রাম স্মার্ট সিটি সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৩০ কোটি টাকা।