জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে নগরের প্রত্যেক থানায় ‘হ্যালো ওসি’ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান। এর প্রেক্ষিতে নগরের কয়েকটি থানা ‘হ্যালো ওসি’ চালু করলেও পরে তা থমকে যায়।
তবে বেশ কয়েকটি থানা এখনও সেটি চালু রেখেছে। এর মধ্যে পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালি থানা অন্যতম।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুরাদপুর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমস্যার বিষয়ে আলোচনা ও সমস্যার সমাধানকল্পে আয়োজন করা হয়েছিল ‘হ্যালো ওসি’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া। সেখানে এলাকাবাসী তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ শুনে ওসি তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যার সমাধান করেন এবং কিছু বিষয় পর্যায়ক্রমে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
এলাকাবাসী যানজট, ফুটপাতে ভাসমান দোকানপাটের কারণে জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি এসবের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান এবং ‘হ্যালো ওসি’ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
এ বিষয়ে ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জয়নিউজকে বলেন, ‘আমরা (পুলিশ) মানুষের কাছে যেতে চাই। অনেকে নানা কারণে থানায় আসতে চান না। কমিশনার স্যারের নির্দেশে ‘হ্যালো ওসি’ প্রোগ্রামটি চালু রেখেছে পাঁচলাইশ থানা। পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যে গ্যাপ ছিল তা অনেকটা কমে গেছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুলিশের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করছে এবং অপরাধ বিষয়ে তথ্য দিচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং অপরাধ দমনে ‘হ্যালো ওসি’ চলমান থাকবে বলেও জানান ওসি।
মুরাদপুরে ‘হ্যালো ওসি’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সচিব আবু সাইদ সেলিম, বিট অফিসার উপ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড মহিলা যুবলীগের সভাপতি সোনিয়া আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রুপা, মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইফুদ্দীন, মাহমুদ রেজা সুজা, ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম সিকদার, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল বড়ুয়া, ব্যবসায়ী সমর খাস্তগীর ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন।