আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ। এতে শোয়াবুর রহমান কনক ও জাহিদুল হাসান নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা দু’জনই চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের কর্মী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এটি সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শাহ আমানত হল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে সংঘর্ষের জেরে পাথরবোঝাই অটোরিকশা থেকে দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফারবিন রহমান ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মুখলেছুর রহমান। তবে পুলিশ তাদের আটকের বিষয়টি এখনো স্বীকার করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর দুইটার দিকে আলাওল হল থেকে বিজয়ের কর্মীরা গত রাতে নিয়ন্ত্রণ হারানো রুমগুলো উদ্ধার করতে সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করে। এ সময় চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
উভয়পক্ষ একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তাদের হাতে দেশি অস্ত্রসস্ত্রও দেখা যায়। পৌনে তিনটার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বিকেল ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করছিল। অন্যদিকে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে শাহ আমানত হলের সামনে।
এদিকে সংঘর্ষে দুইজন আহত হন। তারা হলেন সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শোয়াবুর রহমান কনক এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র জাহিদুল হাসান।
তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত সাতজন আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী হলে অন্তত তিনজন সিএফসি গ্রুপের কর্মীকে আটকে রেখেছে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। আটক করাদের বহিষ্কারাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানান বিজয় গ্রুপের কর্মীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। জিম্মি ছাত্রদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷ পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়নিউজ/নবাব