সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে কেএসআরএমে একদল দুর্বৃত্ত জোর করে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার সকালে কারখানাটিতে একদল দুর্বৃত্ত প্রবেশের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তারা কারখানায় প্রবেশের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি। পরে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে তারা চলে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়বকুণ্ডে কেএসআরএমের জায়গা নিয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়া স্থানীয় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ব্যবহার করে মহলটি ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কেএসআরএমের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি তারা ওই জায়গার কিছু অংশ অবৈধ দখলে নিতে নানাভাবে চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে কেএসআরএমের জেনারেল ম্যানেজার শাখওয়াত হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সকাল ১১টার দিকে কয়েকজন অপরিচিত লোক এসে আমাদের সীমানার ভিতরে প্রবেশ করতে চায়। আমরা পরিচয়পত্র ও বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি। অথচ ওই জায়গায় স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একটি চিহ্নিত মহলের ইন্ধনে কিছু লোক অবৈধভাবে কারখানা অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, ওই মহলটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, উচ্চ আদালতের নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাড়বকুণ্ডের আনোয়ারা জুট মিলের দুই দফায় ৪৫ দশমিক ৮৮ একর জায়গা কিনেছি। এতে আমাদের ১১৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জমির নামজারি ও খাজনা পরিশোধসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে ওই জায়গা আমাদের ভোগদখলে আছে। বর্তমানে সেখানে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।
কিন্তু চিহ্নিত একটি মহলের বিশেষ ইন্ধনে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বিভিন্নভাবে আমাদের জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে এবং পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবে তা দখলে নিতে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এসব আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস- যোগ করেন তিনি।