আওয়ামী লীগ নেতা মাসুমের মুক্তির দাবিতে বের করা মিছিলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বেলালের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠৈছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে লালখানবাজার মতিঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন রিজিয়া বেগম (২৯), মো. সাব্বির (২০), মো. রাকিব (১৮) ও মো. ফয়সাল (২২)। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের মুক্তির দাবিতে সোমবার মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে টার্গেট করে রাতে হামলা চালনো হয়। আহতদের অভিযোগ, বেলাল গ্রুপের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
আহত রাকিব হোসেনের মা লাকি বেগম জয়নিউজকে বলেন, আমার ছেলে বাবার সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিল। সে সন্ধ্যায় বাসায় এসে বিশ্রাম করছিল। তখন বেলাল গ্রুপের সালাউদ্দিন, কালা ইমন, সুজন, নাহিদ, সেলিমসহ ২০-২৫ জন যুবক এসে তাকে বাসা থেকে ঢেকে মারধর করে। তাদের হাতে ধারালো কিরিচ, রামদা ও লোহার রড় ছিল।
স্থানীয় কসমেটিকস দোকানদার বিবি জয়নাব বলেন, আমি বয়স্ক মহিলা, দোকান করে কোনোমতে চলি। আজ হঠাৎ সালাউদ্দিনসহ ২০-২৫ ছেলে এসে আমার দোকান ভাংচুর করে। আমি বাধা দিলে আমাকেও তারা মারধর করে।
এ ঘটনায় আহত ফয়সাল থানায় অভিযোগ করতে আসেন। তখন তিনি জানান, বিকাল ৫টায় আমাকে একবার মারধর করে সালাউদ্দিন, মোহন, কালা ইমন, কাউছার, ঠোঁটকাটা সাগর, তানজীদ, সাগর ও সাইদুল। এসময় তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন আমি ৯৯৯ এর সহযোগিতা নেই। ৯৯৯ থেকে পুলিশ এসে আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বলে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমার ছেলেরা মারধর বা ভাংচুর করেনি। তারা নিজেরা নিজেদের ছেলে ও নারীদের মারধর করে আমার ছেলেদের দোষ দিচ্ছে। তারা আমার পোস্টারের উপর মাসুমের পোস্টার লাগাচ্ছে। এলাকায় কয়েকদিন ধরে মিছিল করছে। তারা ইচ্ছে করেই এসব করছে।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিদ্দিক আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুমের মুক্তির দাবিতে আমাদের দলের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছে। কিন্তু বেলালের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদের ও স্থানীয় সাধারণ মানুষদের মারধর করছে। তারা দোকান লুটপাট ও ভাংচুর করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
এদিকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, মতিঝর্ণা এলাকায় কয়েকজন যুবক দোকান ভাংচুর ও কয়েকজনকে মারধর করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা থানায় অভিযোগ করেছে। এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
জয়নিউজ/রিফাত/পিডি