তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সঙ্গে পুরো রিজিয়নের উন্নতি নির্ভর করছে। বন্দরের উন্নয়নে শেখ হাসিনা আন্তরিক, তাই তিনি বে টার্মিনাল নির্মাণ করছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সময়ের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি সেক্টরকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন মধ্যমআয়ের দেশ। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। এক্ষেত্রে চীন ও ভারত আমাদের পেছনে আছে। আমাদের সক্ষমতা আছে। অনেক চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবেলা করতে পারি। পদ্মা সেতু তার একটি উদাহরণ। আমরা পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছে। নদীমাতৃক দেশ আমরা ছিলাম। কিন্তু সেভাবে পরিচিত ছিল না। দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা মর্যাদার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে মধ্যমআয়ের দেশ হতে এগিয়ে নিতে বন্দরের উন্নয়ন জরুরি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের পরিচয় দিয়ে গেছেন। সেই পরিচয় মুছে ফেলতে, কালিমা লেপন করতে জিয়া-এরশাদ-খালেদা ষড়যন্ত্র করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরও তার বাইরে ছিল না। আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের সমুদ্রবন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫০-এ নিয়ে যেতে কাজ করছে সরকার।
বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন শফিউল বারীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, শেখ হাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহসভাপতি ও সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন।
এছাড়াও এতে বাফা’র বন্দর কাস্টম বিষয়ক পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ ও বিজিএমইএর নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।