মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৩২.৪ ওভার খেলে মাত্র ৭৭ রান তুলতেই ৩ টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে চাপে পড়েছে আফগানরা।
তাইজুল ইসলামকে দিয়ে সূচনা করিয়ে, দ্বিতীয় ওভারে হাত ঘুরিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই। তবে এক ওভার করেই তাইজুলকে প্যাভিলিয়ন প্রান্তে রেখে নিয়ে আসেন ডানহাতি অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে।
এরপর ১১তম ওভার পর্যন্ত করিয়ে আক্রমণে আনেন আরেক অফস্পিনার নাঈম হাসানকে। এরপর সাকিব নিজেই দ্বিতীয় স্পেলে আসেন ১৮তম ওভারে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ দিয়ে ইনিংসের ৩৩তম ওভারে ডেকে নেয়া হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। নিজের চতুর্থ বলেই সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন চার নম্বরে নামা হাশমতউল্লাহকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ধীরে করলেও দ্বাদশ ওভারে বাংলাদেশের অপেক্ষার অবসান ঘটান তাইজুল।
আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে সরাসরি বোল্ড করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের এ মাইলফলকে পৌঁছান বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি স্পিনার। সরাসরি বোল্ড হয়ে যান ইব্রাহিম, বনে যান তাইজুলের শততম শিকার।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে ১০০ উইকেটে দ্রুততম বোলার হয়ে যান তাইজুল। এরপর দ্বিতীয় উইকেটও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান খেলে যাচ্ছিলেন টেস্ট মেজাজে। কিন্তু ২৫তম ওভারে আর মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি ডানহাতি এ ওপেনার। উইকেট ছেড়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েছেন লংঅফে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। ৪৮ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৬৯ বল খেলে ৩ চারের মারে ২১ রান করেছেন ইব্রাহিম।
শুরুর ধীর গতির ব্যাটিং পাশ কাটিয়ে তৃতীয় উইকেটে সাবলীলভাবে খেলতে শুরু করেছিলেন রহমত শাহ এবং হাশমতউল্লাহ শহিদি। কিন্তু তাদের রণে ভঙ্গ করান ডানহাতি অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেলো আফগানিস্তান। উইকেটে ৩১ রান নিয়ে রয়েছেন কেবল রহমত শাহ।
জয়নিউজ/পিডি