সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিশ্ব বরেণ্য নিউরো সাইন্টিস্ট ও নিউরো সার্জন প্রফেসর ডা. রামপ্রসাদ সেনগুপ্ত (রবিন) মানবসেবার কালজয়ী আলোকবর্তিকার উদ্ভাসিত এক কর্মবীর। প্রবাহমান সমাজের অহংকার বাংলা ও বাঙালির গৌরব এবং গর্বের ধন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ বরেণ্য ব্যক্তির অর্জন সমূহ আগামী প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়।
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আবির্ভাব দিবস ও বিশ্ব বরেণ্য নিউরো সাইন্টিস্ট ও নিউরো সার্জন প্রফেসর ড. রামপ্রসাদ সেনগুপ্তের (রবিন) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের উত্তর ফতেয়াবাদের শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সেবাশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মনোজ কান্তি দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ভিসি রফিকুল আলম ও কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম ও বিপ্লব দাশ উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধেয় ব্যক্তি বিশ্ববরেণ্য নিউরো সায়েন্টিস্ট ও নিউরো সার্জন প্রফেসর ড.রামপ্রসাদ সেনগুপ্ত (রবিন) ওবিই তাঁর বর্ণাঢ্য চিকিৎসা সেবায় পথ পরিক্রমা সম্পর্র্কে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন।
ডাক্তার রামপ্রসাদ সেনগুপ্ত চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামে নন্দীরহাটে ১৯৩৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ডা. স্বর্গীয় রোহিনী রঞ্জন সেনগুপ্ত ছিলেন হোমিও চিকিৎসক। তাঁর মাতা শ্রীমতি মনিকুন্তলা সেনগুপ্তা ছিলেন সুগৃহিনী, শিক্ষিতা ও ধর্মানুরাগী। তারা তিনভাই দুই বোন নিয়ে পরিবার। পিতার ভালোবাসা কঠোর অনুশাসন, মাতার মমতা এবং পারিবারিক ধরাবাধা নিয়মের মধ্যে তারা বড় হয়ে উঠেছেন। নন্দীরহাট শৈলবালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়।
তিনি সিটি মেয়রকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরো বিভাগকে আরো সমৃদ্ধকরণে তাঁর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ডা. রামপ্রসাদ সেনগুপ্তকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।