চট্টগ্রাম টেস্ট জেতার চেষ্টাই করেনি বাংলাদেশ। বরং ম্যাচ ড্র করতে বৃষ্টির সহায়তা চেয়েছিল টাইগাররা। খেলা দেখে একজন সাধারণ দর্শকও সেটা বুঝতে পারবে। কিন্তু বৃষ্টিও পারল না বালাদেশকে লজ্জার হার থেকে বাাঁচাতে। ম্যাচে আফগান কাপ্তান রশিদ খান একাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
দিনের সম্ভাব্য ৩.২ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশকে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে নতুনভাবে স্বাগত জানাল টিম আফগানিস্তান।
পারলেন না সৌম্য
ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না সৌম্য সরকার। দিনের সম্ভাব্য ৩.২ ওভার বাকি থাকতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন তিনি।
রশিদ খানের বল সামনের পায়ে ডিফেন্স করেছিলেন সৌম্য। ক্যাচ চলে যায় শর্ট লেগে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। ৫৯ বলে ১৫ রানে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জয়ের আনন্দে মাতে আফগানিস্তান।
ভুল সিদ্ধান্তের শিকার তাইজুল
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তাইজুল ইসলাম। রশিদ খানের বল ডিফেন্স করেছিলেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল লাগে তার পায়ে। জোরালো আবেদনে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার পল উইলসন।
তাইজুল নিতে চেয়েছিলেন রিভিউ। কিন্তু খানিক আগেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের শেষ রিভিউ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন নাঈম হাসান।
রশিদের শিকার মিরাজ
মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভেঙেছেন রশিদ খান। ভেঙেছে ৮.৫ ওভার স্থায়ী অষ্টম উইকেট জুটি।
সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর সৌম্য সরকারের সঙ্গে ভালোই লড়াই করছিলেন মিরাজ। রশিদের গুগলিটা ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন। বল আঘাত হানে তার প্যাডে। আঙুল তুলে দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়েছিলেন মিরাজ। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। উল্টো দলের দ্বিতীয় ও শেষ রিভিউটা নষ্ট হয়েছে।
চা বিরতি
চা বিরতি দিয়েছেন আম্পায়াররা। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলেও খেলা আবারও মাঠে গড়াবে কি-না তা নিয়ে আছে সংশয়! কারণ পুরো মাঠ ভেজা। আউটফিল্ডও ভেজা। সুপারসপার দিয়ে উইকেটের কাভার থেকে পানি শুষে নেওয়ার কাজ চলছে।
থেমেছে বৃষ্টি, খেলা শুরুর অপেক্ষা
বিকেল তিনটার পর বৃষ্টি থেমেছে চট্টগ্রামে। সুপারসপার দিয়ে পিচ কাভারের ওপর জমে থাকা পানি সরানোর কাজ চলছে। তবে আউটফিল্ড ভেজা। শুকানোর কাজও চলছে।
দ্বিতীয় সেশনেও বৃষ্টি
প্রথম সেশন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছিল মোটে ১৩ বল। এরপরই নামা বৃষ্টিতে চা বিরতির আগে আর খেলা শুরু করা যায়নি। দুপুর পৌনে তিনটায় দেওয়া হয়েছে বা বিরতি। তবে তখনো বৃষ্টি পুরোপুরি থামেনি।
বৃষ্টি চলছেই
আগের চেয়ে কমে এসেছে বৃষ্টির বেগ। তবে পুরোপুরি থামেনি এখনো। দুপুর আড়াইটার দিকেও ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছিলই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
১৩ বলের পর আবার বৃষ্টি
দীর্ঘ অপেক্ষার পর শুরু হলো খেলা। কিন্তু আফগানিস্তানের তিন বোলার মিলে করলেন ঠিক ১৩ বল। এরপরই আবার শুরু হলো বৃষ্টি, ফিরে এলো কাভারও।
এই ১৩ বলে বাংলাদেশ তুলেছে ৭ রান। ৪৬ ওভার ৩ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৩। সাকিব আল হাসান ৪৪ ও সৌম্য সরকার ২ রানে অপরাজিত আছেন।
অবশেষে খেলা শুরু
দীর্ঘ অপেক্ষার পর দুপুর ১টায় শুরু হয়েছে শেষ দিনের খেলা। সাকিব আল হাসান ৩৯ ও সৌম্য সরকার শূন্য রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেছেন।
খেলা শুরু ১টায়
উইকেটের কাভার পুরোপুরি সরানো হয়েছে। চলছে মাঠ শুকানোর কাজ। বৃষ্টি আবার ফিরে না এলে দুপুর ১টায় শুরু হবে শেষ দিনের খেলা। অন্তত ৬৩ ওভার খেলানোর চেষ্টা করা হবে।
থেমেছে বৃষ্টি
দুপুর ১২টায় নামা বৃষ্টি ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। বৃষ্টি থামার পর উইকেটের কাভার সরানোর কাজও শুরু হয়ে গেছে।
আবার বৃষ্টি
বৃষ্টি থামার পর বেলা সাড়ে ১১টায় সুপারসপার দিয়ে পিচ কাভারের ওপর থেকে পানি সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কাভার তোলার কাজও শুরু হচ্ছিল কেবল। তবে ১২টার দিকে আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
ভেসে গেল প্রথম সেশন
টানা বৃষ্টিতে লাঞ্চ বিরতির আগে শেষ দিনের খেলা শুরু করা যায়নি। ভেসে গেছে প্রথম সেশনের খেলা।
থেমেছে বৃষ্টি!
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল চট্টগ্রাম নগরে। সকালের দিকে বাড়তে থাকে বৃষ্টির গতি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হয় ভারি বর্ষণ। এরপর অবিরাম হতে থাকে হালকা বৃষ্টি। তবে সকাল সোয়া ১১টায় যখন এ রিপোর্ট লিখছি তখন থেমে গেছে বৃষ্টি।
গতকালই আবহাওয়াবিদ বলেছিলেন, আজ (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে থেকে সারাদিনই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হবে। তাদের কথা সত্যও হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। এখন পর্যন্ত অফিসিয়িালি জানানো হয়নি, খেলা কখন শুরু হতে পারে। অথচ আজ আধঘণ্টা এগিয়ে খেলা শুরু করার কথা ছিল।
এর আগে চতুর্থ দিনেও বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। খেলা শুরু হয়েছিল দুই ঘণ্টা দেরিতে। বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল দিনের শেষ ১৩ ওভারও।
আপাতদৃষ্টিতে খেলা না হলে লাভ বাংলাদেশের। এই টেস্টে বাংলাদেশকে হারাতে শেষ দিনে মাত্র ৪ উইকেট দরকার আফগানিস্তানের। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬২ রান! উইকেটে আছেন সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। তাদের পর আর কোনো স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান নেই।
এদিকে সোয়া ১১টায় যখন এ রিপোর্ট লিখছি, তখন বৃষ্টি থেমে গেছে। বৃষ্টি থামায় আশার আলো দেখছে আফগানিস্তান। অপরদিকে কালো মেঘ ভর করেছে ক্রিকেটপাগল বাঙালির মনে। তারাতো জানে, একমাত্র বৃষ্টিই বাঁচাতে পারে বাংলাদেশকে। তাই ক্রিকেটপ্রিয় বাংলাদেশিদের এখন প্রার্থনা শুধু ‘বৃষ্টি’র জন্য।
জয়নিউজ