অবশেষে স্বীকৃতি পেলেন লোহাগাড়ার সেই বীরাঙ্গনা রত্না চক্রবর্তী। ‘স্বীকৃতি চান বীরাঙ্গনা রত্না’ শিরোনামে গত ২৬ মার্চ সংবাদ প্রকাশ করে জয়নিউজ।
২০১৫ সালের এপ্রিলে বীরঙ্গনার স্বীকৃতি চেয়ে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আবেদন করেন রত্না। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬২তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রত্না চক্রবর্তীকে বীরঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে গেজেট (৩১০) প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক জয়নিউজকে বলেন , বীরঙ্গনা আবেদন পাওয়ার পর প্রত্যেক উপজেলার তিন জন মহিলা সদস্য দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জামুকা রত্না চক্রবর্তীসহ ৪৬ জনকে বীরঙ্গনা স্বীকৃতি প্রদান করেন। বর্তমানে রত্না চক্রবর্তী চট্টগ্রামের একটি বিপণি বিতানে ঝাড়ুদারের কাজ করেন।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল হামিদ বেঙ্গল বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার একমাত্র বীরঙ্গনা হিসেবে রত্না চক্রবর্তী স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লোহাগাড়ার ইউএনও তৌছিফ আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, বীরঙ্গনা রত্না চক্রবর্তী যাতে সরকারি ভাতাসহ
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অনুভূতি জানাতে গিয়ে রত্না চক্রবর্তী জয়নিউজকে বলেন, অবশেষে স্বীকৃতি পেলাম। এখন মরেও শান্তি পাবো।
লোহাগাড়ার সুখছড়ি গ্রামের এই নারী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল দিনের বেলায় হঠাৎ পাকিস্তানি সৈন্যরা আমিরাবাদের ব্রাক্ষণপাড়া, রাজবাড়ি এবং কলাউজানের হিন্দুপাড়ায় অতর্কিতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। ওইদিন পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের পাড়ায় নির্বিচারে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে ৭ জন মারা যান। যুদ্ধকালীন সময়ে দোহাজারী পাকিস্তানি ক্যাম্পের বাইরে প্রায় মৃত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করেন পথচারী বাদল চক্রবর্তী।
জয়নিউজ