চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় স্ত্রী মিতু, শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযোগপত্রে নাম নেই মামলার আরেক আসামি ভারতীয় নাগরিক প্যাটেলের।
বুধবার (১১ সেপ্টম্বর) অভিযোগপত্রটি আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান।
অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা মোছাম্মৎ শামীমা শেলী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী ও মিতুর কথিত বন্ধু চিকিৎসক মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: আকাশের আত্মহত্যা: জামিন পেয়েছেন মিতু
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আকাশের আত্মহত্যায় স্ত্রী মিতু, শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা পড়ে। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি থাকায় বুধবার আমরা সেটি আদালতে পাঠাই।
তবে মামলার অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত আরেক আসামি আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক প্যাটেলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্যাটেল যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় এবং তিনি বাংলাদেশে কোনো অপরাধ সংঘটিত না করায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।
আরও পড়ুন: সেই মিতুর জামিন নামঞ্জুর
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ। আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যানেসথেশিস্ট বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি আকাশের মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়। তবে এদের মধ্যে পাঁচজনকে অভিযোগপত্রে এনেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল কাদের।