গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির আলতো ছোয়া আর মৃদু বাতাসে প্রাণে এসেছে সজীবতা। বলা যায় এবার শরৎকে স্বাগত জানিয়েছে বর্ষার রেখে যাওয়ার এক পশলা বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে মৃদু মন্দ বাতাস। কয়েকদিন টানা ও ভারি বৃষ্টিতে নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি আবার কখনো টানা বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির কারণে নগরের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম বিপাকে।
অনেকে বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন, কেউবা যেতে না পেরে বাসায় অলস সময় পার করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী শিক্ষকের উপস্থিতি কম হওয়ায় অঘোষিত বৃষ্টির ছুটি পালন করা হচ্ছে যেন।
বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ডা. খাস্তগির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ কদম মোবারক সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বৃস্পতিবার (১২ সেপ্টোম্বর) এ চিত্র দেখা যায়।
যানবাহন সংকটে অনেকে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিকশা-ভ্যানে করে স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। সুযোগ বুঝে রিকশাওয়ালারা ভাড়া হাকেন দ্বিগুণেরও বেশি। বাধ্য হয়েই স্কুলগামী অভিভাবকরা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে পৌঁছান।
নগরের লালখানবাজার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আজাদ ইকবাল পারভেজ জয়নিউজকে বলেন, স্কুল যথাসময়ে শুরু হয়েছে। কিন্তু আজ উপস্থিতি একদম কম। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসেনি।
খাস্তগির স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষথী নাসরিন জাহান জয়নিউজকে বলেন, দুইদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। তাই স্কুলে আসতে পারছে না অনেকেই। আমাদের ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর ও ফরম পূরণের জন্য আসতে হয়েছে।
সেন্ট মেরিস স্কুলে আসা জবাশ্রী চৌধুরী নামে একজন অভিভাবক জয়নিউকে বলেন, ছেলে-মেয়েদের বৃষ্টির দিনে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। বৃষ্টিতে ভিজে বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখের সম্ভাবনা থাকে। পরীক্ষার কারণে স্কুলে আনতে হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানান গেছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেই সাথে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।