বৃত্তিপ্রাপ্ত হলভর্তি শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তৃতা করছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম। আলোচনার এক প্রসঙ্গে তিনি সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলেন শিক্ষার বিকল্প কী হতে পারে? কয়েকজনের ভুল উত্তর শুনে তিনি বললেন, যে এর সঠিক উত্তর দেবে তাকে হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে!জু কলেজের ছাত্র রিয়াজুল হক উত্তর দিল শিক্ষার বিকল্প ‘শিক্ষাই’। মন মতো উত্তর পেয়ে আলোচনার শেষেই আবদুস সালা
বেশ কয়েকজনের পর হাজেরা তম তার হাতে তুলে দিলেন হাজার টাকার নোট।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এলজিআরডি ভবনে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনা করছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের আওতায় অস্বচ্ছল ও মেধাবী ২৮৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ২৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতিজন কলেজ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় আট হাজার টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় দশ হাজার টাকা করে।
আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, নুসরাতকে আগুন দিয়েছে কারা, বন্ধুদের পেটে ছুরি চালাচ্ছে কারা, দুর্নীতি করছে কারা! শিক্ষিত মানুষরাই। তাই শিক্ষার সঙ্গে নৈতিকতা যুক্ত করতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় মানুষের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। বছরের শুরুতেই বই দিয়ে দেওয়া হয়। আর আমাদের সময় আম্মারা উপরের ক্লাসের কারো কাছ থেকে ছেড়া বই সংগ্রহ করে আমাদের পড়তে দিত।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বোর্ড উপসচিব মো. বেলাল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুছ, অ্যাডভোকেট উম্মে হাবিবা, শাহেদা আক্তার জাহান, জাফর আহাম্মেদ, জসিম উদ্দিন, আবু আহাম্মেদ জুনু, আ ম ম দিলশাদ, শওকত আলম ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শেখ আতাউর রহমান।