এবারও শুরু হয়েছে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে এবার অডিশনের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেছে। এ বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ এর মূল বিচাররের আসনে থাকছেন জনপ্রিয় দুই চিত্রতারকা ফেরদৌস ও মৌসুমী। তাদের সাথে আরও থাকবেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের সিইও, বিউটি এক্সপার্ট ফারনাজ আলম।
সারা দেশ থেকে অংশ নেয়া হাজারো সুন্দরীদের মধ্য থেকে বেছে নেয়া হবে সেরা সুন্দরীকে। তিনি আগামী ৪ অক্টোবর গালা ইভেন্টের মাধ্যমে সরাসরি লন্ডনে অনুষ্ঠেয় ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
শনিবার এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে সংবাদ সম্মেলন করে বিচারকদের নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সেখানে ফেরদৌস, মৌসুমী ও ফারনাজ আলম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার চেয়্যারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, আয়োজক প্রতিষ্ঠান অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, এক্সপার্ট প্রোভাইডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপু খন্দকার এবং এক্সপোজার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী সজীব রশীদসহ অনেকে।
আয়োজকরা জানান, এবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’ শুধু বিউটি কনটেস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এই প্ল্যাটফর্মটি সামাজিক সচেতনতামূলক উন্নয়নকাজেরও অংশীদার হচ্ছে। এবারের আয়োজনে বেশ কিছু চমক থাকছে বলেও দাবি করেন আয়োজকরা।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আগের দুটি আয়োজন ছিল সমালোচনা ও বিতর্কে ভরপুর। ২০১৭ সালে বিবাহিত হয়েও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিন্দিত হয়েছিলেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েও বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার পর তাকে হারাতে হয়েছিল সেরার মুকুট।
এরপর নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে জেসিয়া ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি পরে চীনে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু বিশেষ কোনো কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। সেবার আয়োজকদের কথা মতোই বিচারকরা রায় দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।