সৌদি আরবে অ্যারামকোর রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ দুইটি তেল স্থাপনায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, রুহানি ও জারিফ (ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কূটনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার ভান করছে। কিন্তু সৌদি আরবে প্রায় একশ হামলা করেছে তেহরান। অচলাবস্থা নিরসনের সকল আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের ওপর অভিনব হামলা চালাচ্ছে।
হামলার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনে শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও স্পষ্ট করে না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, হুথিরা ড্রোন হামলা করেনি। ইরান হুথিদের নাম করে অভিনব কৌশলে এই হামলা চালিয়েছে।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, হামলার কারণে দৈনিক তেল উৎপাদন ৫৭ ব্যারেল কমে যাবে। যা দেশটির মোট দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং যা বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের পাঁচ শতাংশের বেশি। বিবিসি বলছে, এ ঘটনায় বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য বেড়ে যাবে, তৈরি হবে অস্থিতিশীলতা।
জয়নিউজ/পিডি