চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের ১৩ অনুসারীর বিরুদ্ধে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির এক কর্মী। এছাড়া সভাপতির পরিচয় দিয়ে ছাত্রত্ব বাতিল ও প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ অভিযোগ দিয়েছেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আহাম্মদ উল্লাহ রাব্বি। তিনি চবি ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক জাহেদ আওয়ালের অনুসারী।
অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন রাব্বি। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ছাত্র সাদাফ কবির, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শাওন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের রমজান হোসাইন, একই শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের রাসেল এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের রিফাত ও মোহন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রমজান হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী তার রুম ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করে। সেখানে তিন নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে ছিল রাব্বির নাম।
অভিযোগপত্রে রাব্বি উল্লেখ করেন, ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৯টা ৪৭ মিনিটে ক্যাম্পাসের স্টেশনে এসে পৌঁছাই। হঠাৎ ওই মুহূর্তে অতর্কিতভাবে সাদাফ কবিরের নেতৃত্বে শাওন, রমজান হোসাইন, রাসেল রিফাত ও মোহনসহ অজ্ঞাত ৮-৯ জন আমার উপর আক্রমণ করে এবং মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা ৩ হাজার ২৫৭ টাকাসহ আমার গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিনতাই করে। এমতাবস্থায় আমি প্রতিবাদ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী হিসেবে দাবি করে এবং কোনো প্রকার অভিযোগ করলে সভাপতির প্রভাবে ছাত্রত্ব বাতিল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে রাব্বি জয়নিউজকে বলেন, টিউশনি শেষে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম, তখন এ ঘটনা ঘটে। এরপরে ছাত্রলীগের বড় ভাইয়েরা মোবাইল, টাকা ও কাগজগুলো উদ্ধারের আশ্বাস দেয়। কিন্তু এতদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে রমজানের রুম ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন রাব্বি। তিনি বলেন, এ ঘটনার সময় আমি মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষিকার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তার রুম ভাঙচুর হয়েছে কি-না জানিনা। কিন্তু আমি ছিলাম না।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল জয়নিউজকে বলেন, যেই দোষী হোক, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা খতিয়ে দেখব।