যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের দুয়ারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেলে ধরছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মাহফজুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় মেধার বিকাশ ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই। আর তাই তো আমরা এমন একটি সিলেবাস ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করেছি, যা ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৩ তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ সিনিয়র কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিআইইউর আগামি দিনের পরিকল্পনা, উচ্চশিক্ষায় গুণগতমান নিশ্চিত করা, অভিভাবকদের আস্থা বজায় রাখা, শিক্ষার্থীদের সাফল্য, কোর্স-কারিকুলামে নিত্যনতুন বিষয়ক অন্তর্ভুক্ত করা, ইউএমসি মিটিং পর্যালোচনা, টিউশন ফিস, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার, এমবিএ থিসিস ও ইন্টার্ণশিপ, ক্লাসরুমের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীদের এলএফই বা মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা বাড়ানোসহ নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফজুল হক চৌধুরী তার সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়ে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি আন্তর্জাতিকমানের না হলে কখনই তা ছাত্র-ছাত্রীদের মৌলিকতার উন্মেষ ঘটাবে না। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করে সিআইইউকে এগিয়ে যেতে হবে সময়ের একধাপ আগে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইইউর ট্রাস্টি লুৎফে এম আইয়ুব, ট্রাস্টি সাফিয়া রহমান, সিন্ডিকেট মনোনীত সদস্য অধ্যাপক মাহমুদুল হক, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল হক খান, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ ও স্কুল অব ল’র সহকারী ডিন মো. আকতারুল আলম চৌধুরী।