ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ঢাকা পর্ব শেষে এখন চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর অপেক্ষা। যেখানে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্বাগতিকরা মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ের। যারা প্রথম দুই ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায়। তবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে হারানো ছাড়া কোনও পথ নেই জিম্বাবুয়ের সামনে।
এদিকে সাগর পাড়ের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সবশেষ কবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়েছিল, তা মনে করতে পারছিলেন না স্টেডিয়াম সংশ্লিষ্ট অনেকেই। নিয়মিত বিপিএলের ম্যাচ হওয়ায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির কথা মনেও নেই অনেকের।
তবে স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুর মনে আছে সব, ‘২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ।’
ওই দুই ম্যাচের পর এখানে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। যেখানে বাংলাদেশ খেলেছিল বাছাই পর্বের দুই ম্যাচ নেপাল ও হংকংয়ের বিপক্ষে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ লজ্জা পেয়েছিল হংকংয়ের বিপক্ষে হেরে। ওই বিশ্বকাপে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচ খেলেছিল নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এরপর পাঁচ বছর এখানে হয়নি কোনো টি-টোয়েন্টি।
আরও পড়ুন: পারফর্ম না করলে সবকিছুই ডিফিকাল্ট: সৈকত
এদিকে সিরিজে টিকে থাকতে হলে দুই দলের জন্য আজকের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। দুই ম্যাচ খেললেও কোনো জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে। দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে তাদের। আজ হারলেই ফাইনালের স্বপ্ন শেষ। আর বাংলাদেশকে যদি আজ তারা হারিয়ে দিতে পারে তাহলে টিকে থাকবে ফাইনালের লড়াইয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ যদি আজ জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারে তবেই টাইগাররা পৌঁছে যাবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে।
জিততে চায় বাংলাদেশ
‘যখন ম্যাচ খেলি প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্য খেলি। আমাদের সামনে আরো তিনটা ম্যাচ আছে, যদি ফাইনাল খেলি। ওভাবে চিন্তা করছি না। আমরা আজকের ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব। আমাদের এই ম্যাচটা জেতা দরকার। আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি এবং একটা ম্যাচ হেরে গেছি। আজকের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জেতার জন্যই খেলব। শতভাগ আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটাই খেলব’- ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
অভিষেক হতে পারে দুই জনের!
ফর্মহীনতায় স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার। তাঁর জায়গায় স্কোয়াডে এসেছেন নাইম শেখ, আছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। আবার লেগ স্পিনার বিবেচনায় দলে আছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। আজ এই তিনজনের মধ্যে দুইজনের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে যেতে পারে।
টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে ব্যর্থ হচ্ছেন, দ্রুত উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছে দল। ডানহাতি ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে আজ ওপেন করতে পারেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ। ৩২ লিস্ট-এ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে ১৫৪১ রান করা নাইম অবশ্য খেলেছেন ৭টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেখানে ২০ বছর বয়সী নাইমের রেকর্ড অতোটা সুখকর না। স্ট্রাইক রেট ৮৯.১০ এ রান মোটে ৯০।
ওদিকে গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) নেটে নাইম শেখের সঙ্গে লম্বা সময় ঘাম ঝরিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ২০ ছুঁইছুঁই বিপ্লব মূলত ব্যাটসম্যান। ১৯ লিস্ট-এ ম্যাচে ৩০.২৯ গড়ে বিপ্লবের আছে ৫১৫ রান। এই ১৯ ম্যাচের ৭ ইনিংসে মোটের ওপর ১৬২ বল করে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২ টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেললেও কখনো বল হাতে নেননি বিপ্লব।
নাইম ও বিপ্লবের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চেপে টি-টোয়েন্টি খেলার স্বাদ পূরণ হতে পারে আজই। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব সেরা একাদশে থাকলে বাদ পড়তে হবে সাব্বির রহমানকে। এছাড়া সেরা একাদশে আসতে পারেন রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামের মধ্যে কেউ একজন। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে হবে তাইজুল ইসলামকে। ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিং এর চোট পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। যদিও গুরুতর নয় তাঁর চোট।