চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী তিন মাস চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়।
এ সময়কালে সততা, আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে সমন্বিত টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিকের ৫০তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ডোর টু ডোর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ২ হাজার সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য চসিককে অতিরিক্ত ২৮ কোটি টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। ভালো কিছু করতে হলে টিমওয়ার্কের বিকল্প নেই। ভালো টিমওয়ার্ক করতে পারলে যেকোনোও অসাধ্য কাজ সাধন করা যায়।
তিনি আরো বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র এবং কাউন্সিলররা একে অপরের পরিপূরক। আপনারা আপনাদের এলাকায় ভাল কাজ করলে মানুষ আপনাদেরকে ভাল জানবে। আপনাদেরকে ভাল জানলে আমাকেও ভাল জানবে। তাই এলাকায় এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়। জনগণের সেবক হিসেবে নিজকে গড়ে তোলার মন-মানসিকতা নিয়ে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
এর পাশাপাশি উন্নয়ন কাজে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে তাদের মতামত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে কাজ করার পরামর্শ দেন মেয়র।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ইউএনডিপি’র অর্থায়নে ১ লাখ ৫ হাজার পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে সঙ্গে নিয়ে নগরের প্রতিটি থানায় পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিময় সভা করার ঘোষণা দেন মেয়র।
এছাড়া ডিটিটি রোড, আরাকান সড়ক, হাটহাজারী সড়ক, এয়ারপোর্ট রোড এবং বায়েজিদ বোস্তামী রোডের কাজও দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন মেয়র।
সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমদ, সদ্য যোগদানকৃত প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।