‘বাচ্চু ভাইয়ের প্রতি এমন সম্মান অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকল। নিঃসন্দেহে এ এক বৈপ্লবিক উদ্যোগ। যারা এই আয়োজনের পেছনে ছিলেন, তাদের স্যালুট।’
বলছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। কুমার বিশ্বজিৎ, শাফিন আহমেদ, সামিনা চৌধুরীসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক শিল্পীর মুখেও প্রায় একই কথা। সবার মুখে নগরের প্রবর্তক মোড়ে স্থাপিত রুপালি গিটারের প্রশংসা।
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের পেছনের মানুষটির নাম নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। দেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে রুপালি গিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেন তিনি।
মেয়রের নির্দেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শুরু হয় কাজ। দায়িত্ব দেওয়া হয় দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। এক বছর পর ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় রুপালি গিটার।
উদ্বোধনের পর থেকেই রূপালি গিটার নিয়ে প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন মেয়র নাছির উদ্দীন। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় অবস্থানরত শিল্পীরাও এই উদ্যোগের জন্য মেয়রকে জানাচ্ছেন সাধুবাদ।
যেমনটা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। তিনি বলেন, ‘এটা যে কত বড় অর্জন, তা এ জাতির উপলব্ধি করতে ৫০ বছর লাগবে। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
চট্টগ্রামের সন্তান, গায়ক ও সংগীত পরিচালক কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘যারা প্রবর্তক মোড়ে আইয়ুব বাচ্চুর রুপালি গিটার স্থায়ীভাবে স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে সমগ্র শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।’
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে এক গানের অনুষ্ঠানে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে তো মৃত্যুর পর সবাই সবকিছু ভুলে যায়। কিন্তু চট্টগ্রামবাসী তাদের সন্তানকে ভুলে যায়নি, স্থায়ীভাবে মনে রাখার বন্দোবস্ত করেছে। শিল্পীদের সম্মান দেখানোর নতুন পথ দেখাল চট্টগ্রাম।’
কানাডার এডমন্টনে এক অনুষ্ঠানে মাইলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শাফিন আহমেদ বলেন, ‘নিজের শহরে স্থায়ীভাবে সম্মান দিয়ে রাখা, আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখা হলো- এটা সত্যি গর্বের বিষয়। এতে চট্টগ্রামের তরুণেরা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হবে।’