পটিয়ার গোবিন্দরখীল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর চারটার দিকে তাদের আটক করে পটিয়া থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- নেজাম উদ্দীন (৬৫), শহীদুল ইসলাম (১৯),শফিক আলম (১৯), আবুল কালাম (৪২), মোহাম্মদ হোসেন (২১), জিয়াউর রহমান (১৯), সাইফুল ইসলাম (১৯), মো. ইউসুফ (২০), নবী হোসেন (২৭), আমিন (৪২), ইলিয়াছ (৩০), আবদুর রাজ্জাক (২৫), নুরুল আমিন (৪০), বশির আহমদ (৫৫), আবু মোনাফ (৬০), আলি আহমদ (১৯), আব্দুস সালাম (৪৮), মো. জুনায়েদ (৪২), মো. কাসেম (৩৯), আনোয়ার ছাদেক (২১), জিয়াউর রহমান (১৯), আহমদ কবির (৪৫), মুজিবুর রহমান (১৯) ও শরিফ (১৯)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাত চারটার দিকে উপ-পরিদর্শক এনামুল, মোকতার ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মেহেরাজ ও লিটনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম উপজেলার গোবিন্দরখীল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের হাইদগাঁও ও পৌর সদরের ১, ২, ৩ ও ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে।
এরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ জানান। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন হানিফ ও আজিজুর রহমানের (আরজু) কলোনিতে প্রায় ৫০টি রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করে আসছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, রোহিঙ্গারা দিনের বেলা রিকশাভ্যান চালানো ও দিনমজুরের কাজ করে। রাতের বেলায় তারা মদ, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে।স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্বে রোহিঙ্গারা এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১৯৪৬ সালের ১৪ ধারায় বিদেশি নাগরিক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।