স্টাফ রিপোর্টার: ঈদুল আযহায় এবার কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু রয়েছে বলে জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের তৃতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শফিউল আলম।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত সুস্থ পশু কোরবানি দেয়ার জন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কোনও ধরনের স্বাস্থ্যহানিকর ওষুধ বা কোনও অসুস্থ পশু যেন হাটবাজারে উঠতে না পারে, সে বিষয়টি দেখার জন্য ডিসিদের বলা হয়েছে।’
‘এছাড়া, কোরবানির হাটে যে পশুগুলো উঠে, সেগুলোকে মোটাতাজা করতে ব্যবসায়ীরা যেন কোনও ক্ষতিকারক ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।’
বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময় জেলেদের মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দের অপ্রতুলতায় সব জেলে তা পাচ্ছেন না। সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো ও ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতি সংশোধনের জন্য মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন ডিসিরা।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিসিদের এই দুটি পরামর্শ আমরা গ্রহণ করেছি। যেহেতু সরকারের এই সহায়তা ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তাই আমি ডিসিদের কথা দিয়েছি— বিষয়টি নিয়ে ত্রাণমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। নিশ্চয়ই ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিষয়টি শুনে সুরাহা করবে।’
বৈঠকে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার ডিসিরা জানান, আমদানি করা ভারতীয় চিংড়ির পোনায় ভাইরাসের আক্রমণ হচ্ছে। এতে চাষিরা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের হ্যাচারিগুলো মানসম্মত পোনা উৎপাদন করতে পারে। ডিসিদের বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি আমরা নিয়ন্ত্রণে আনব।’
বিপি