ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, জীবনে যেকোনো কিছু একবারে পাওয়া যায় না। সেই পাওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হলে লড়াই করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। সব জড়তা-সংকোচ কাটিয়ে এগোতে হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব’র (ডিইসি) আয়োজনে জেলা পরিষদের মিলনায়তনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইউটার্ন- ঘুরে দাঁড়াও সাফল্যের পথে’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। প্রতিবেশী স্বজন সবাই আপনার ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাবে। কিন্তু পিতামাতাই আপনাকে উত্তরণের পথ দেখিয়ে দিবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসনাত সিদ্দিকী বলেন, ব্যর্থতা সাফল্যের প্রথম পদক্ষেপ। ব্যর্থতায় মুখ ডুবিয়ে যেদিন থেকে ভাবতে শুরু করবেন যে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। সেদিন থেকে আপনি আরও পিছিয়ে পড়বেন। আসলেই দেখা যাচ্ছে, আপনাকে দিয়ে আর কিছু হচ্ছে না। কারণ সফল হওয়ার মতো মনোবলই যদি না থাকে তবে সফলতা আসবে কীভাবে? তাই সবসময় নিজেকে মূল্যবান মনে করবেন। মাথায় রাখবেন, পথ চলতে গিয়ে পা-পিছলে পড়তেই পারেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, জীবনে অনেক কঠিন মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হবে যা থেকে পালানোর সুযোগ নেই। কিন্তু সে মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করে কাটিয়ে উঠতে পারলেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
এছাড়াও দিনব্যাপী সেশনে অংশ নেন বিএসডিআই’র উপদেষ্টা কেএম হাসান রিপন, র্যাং গস এফসি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তানভীর শাহরিয়ার রিমন, সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, আমেরিকান কর্নার চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রুমা দাশ, মেন্টোরস চট্টগ্রামের মাঞ্জুমা মোর্শেদ, চট্টগ্রাম মহিলা চেম্বার্স অব কমার্সের পরিচালক শাহেলা আবেদিন।
এ অনু্ষ্ঠানে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোমেন কানুনগো চট্টগ্রামের ২৫০ জন শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কোর্স করানোর ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন এমরান আহমেদ তামিম। লোপামুদ্রা নন্দীর সঞ্চালনায় ও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সোমেন কানুনগোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গত বছর ইউটার্নে উপস্থিত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের একাংশ, যারা নিজেদের সঠিক পথে পরিচালনা করে সাফল্য অর্জন করছেন।