আফগানদের সঙ্গে টানা চার টি-টোয়েন্টিতে হার। এক দর্শক সংশয় প্রকাশ করে বললেন, আজ জিততে পারব তো আমরা! কারণ আফগানদের সঙ্গে খেলার আগেই আমরা হেরে যাই। যেন তারা ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক বললেন, রশিদ-মুজিবদের খেলা ডিফিকাল্ট। অথচ গতকাল (শুক্রবার) মাসাকাদজা-টেলররা আফগানদের কীভাবেই না হারাল। তারা পারলে আমরা পারব না কেন?’
উপরের কথাগুলো বলছিলেন এক টাইগার ভক্ত। যিনি ইতোমধ্যে ফেনী থেকে চট্টগ্রামে এসেছেন আজ (শনিবার) বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি দেখতে। এতকিছু বলার পরও তার আশা, ‘রশিদ খানের দলকে আজ হারিয়ে দিবে সাকিব বাহিনী।’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই দলের প্রথম দেখায় আফগানিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৭২ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ সেটি ১২ ওভারেই পেরিয়ে গিয়েছিল ৯ উইকেট হাতে রেখে। সেই আফগানিস্তানই সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রবল প্রতিপক্ষ।
ওই ম্যাচের পর এই ফরম্যাটে আফগানদের বিপক্ষে আর জিততে পারেনি বাংলাদেশ। গত বছর ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ হয়েছিল হোয়াইটওয়াশ। এরপর ত্রিদেশীয় সিরিজে মিরপুরে ২৫ রানে হার। আজ হারলে পরিসংখ্যানটা গিয়ে ঠেকবে টানা পাঁচে। তার মধ্যে আবার ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টেও আফগানদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ে বড় অবদান রাখা শফিউল ইসলাম অবশ্য আফগানদের হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, বললেন, ‘আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শুধরাতে পারি, যে যার কাজটা ঠিকমতো করতে পারি, শতভাগ দিতে পারি; তাহলে ওদের হারানো সম্ভব।’
ম্যাচটা তারা কেন জিততে চান, সেটাও ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করেছেন এই পেসার, ‘কালকের ম্যাচটা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভালো খেললে এ থেকে সবার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। জয়ের অভ্যাসটা আমাদের ফাইনাল খেলার জন্য সহায়তা করবে।’
অন্যদিকে গতকাল জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে আফগানিস্তানের রেকর্ড টানা ১২ ম্যাচের জয়যাত্রা থেমে গেছে। এই ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে নয়বারের দেখায় আফগানিস্তান পেয়েছে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ। তাতে রশিদ-নবীদের আত্মবিশ্বাসও কিছুটা নড়ে গেছে নিশ্চিতভাবে। বাংলাদেশের জন্য সুযোগটা কাজে লাগানোর মোক্ষম সময় এটাই।