পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ১৯৭২, ৭৩ বা ৭৪ সালে যে ডোনেশনই আসত তা আমরা নিতাম। এসব নিয়ে তখন বিদেশিরা বাহাদুরি দেখাত। কিন্তু এখন আর তাদের বাহাদুরি দেখানোর সুযোগ নেই। আমরা তাদের প্রভুত্ব মেনে নেব না।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা ঋণ নেব। তবে ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক। আই ডোন্ট লাইক দিস।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে ‘এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে ঋণ দিতে ঢাকায় হাজার হাজার লোক ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছে। আইএমএফ, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যরা ঋণ দিতে আগ্রহী। তাহলে কেন আমরা ডোনার ফান্ড চাইব? যেখানে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। মাথাপিছু আয় দ্রুত বাড়ছে।
আলোচনা সভায় উদ্যোক্তাদের তোলা বিভিন্ন অভিযোগ এবং দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
ব্র্যাকের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী।