আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, দেশে ১৭টি অর্থনেতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সরকার। এ অঞ্চলগুলোর কাজ শেষ হলে দেশের এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, রাউজান একসময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে রাউজান শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসের জনপদ রাউজানকে শান্তির জনপদ করতে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের প্রচেষ্টা রাউজানবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা এসব বক্তব্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে।
রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আবদুল ওহাবের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।
প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ফারাজ করিম চৌধুরী।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডকোকেট ফখর উদ্দিন, জাফর আহম্মদ, ইউনুছ গনি চৌধুরী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, শফিউল আজম, ডা. শেখ শফিউল আজম, কাজী ইকবাল, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংশু প্রু চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলু আরা ইউসুফ, সম্পদিকা অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত।
উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জসিমউদ্দিন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম শাহজাহান, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, যুবলীগ নেতা সুমন দে, সারজু মোহাম্মদ নাসের, আহসান হাবিব চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন পিপলু।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে দ্বিতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওহাবকে সভাপতি, রাউজান নোয়াপাড়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীকে সাধারন সম্পাদক, আনোয়ারুল ইসলামকে সহসভাপতি ও সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।