‘ক্লাবের নামে জুয়া চলবে না। আমরা ক্লাব করি নির্মল বিনোদনের জন্য। বিনোদনের একটি মাধ্যম হলো ক্রীড়াঙ্গন। এটি একটি পবিত্র অঙ্গন। এটিকে অপবিত্র করার অধিকার কারো নেই।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
এদিন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজারের আইএস কনভেনশন হল চত্বরে চসিক আয়োজিত জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চসিক আইনশৃঙ্খলা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা, চসিক সাবেক কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ মালেক, বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঈন উদ্দিন মঈনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান রশিদ।
এছাড়া ওয়াহিদুল আলম শিমুল, শফিকুর রহমানসহ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেয়র বলেন, জুয়া, মদ ও ক্যাসিনো বসিয়ে ক্লাব পরিচালনার কথা কোথাও নেই। আমাদের সংবিধান ও পবিত্র ইসলাম ধর্মে নেই। ইসলাম ধর্মে জুয়া সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। এটা জায়েজ করার সুযোগ নেই।
‘প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় ভ্রাতা শহীদ শেখ কামাল যিনি অনেক বড় ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন, তাঁর নাম ব্যবহার করে জুয়ার আসর বসিয়ে ক্লাব চালাবে- এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ারও সুযোগ নেই। যারা জুয়ার বোর্ড বসাবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।’
তিনি বলেন, প্রথমত আমদেরকে নিজেদের শুধরাতে হবে। যদি আমি মদ ও জুয়ার সঙ্গে জড়িত না থাকি, তাহলে আমার বুকে সাহস থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে ১৯৮৫ইং থেকে আমিও ক্লাব চালাই। আমি চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, দীর্ঘদিন যাবৎ সভাপতি পদে আছি। এ ক্লাব অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি ক্লাব করছি না কারণ ক্লাবঘর করলে কেউ না কেউ অবৈধ কাজ করবে। আমার ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ক্লাবটি এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।